শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন
হাসান আল মামুন:
হাদিসে সুরা মুলকের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এ সুরা তেলাওয়াত করতেন। এমনকি এ সুরা তেলাওয়াত না করে রাতে ঘুমাতেন না। এ সুরা তার তেলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে, কবরের শাস্তির প্রতিবন্ধক হবে এবং আল্লাহর ক্ষমা ও জান্নাত লাভের মাধ্যম হবে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, কোরআনে ত্রিশ আয়াতবিশিষ্ট একটি সুরা আছে, যা এক ব্যক্তির জন্য মাগফিরাতের সুপারিশ করেছে। ফলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। তা হলো সুরা তাবারাকাল্লাজি অর্থাৎ সুরা মুলক। (সুনানে তিরমিজি)
সুরা মুলক তার আমলকারীর পক্ষে সুপারিশ করে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। আর এটা কোনো সাধারণ সুপারিশ নয়, বরং আমলকারীর পক্ষে ওকালতি করবে। আমলকারীকে জান্নাতে না নেওয়া পর্যন্ত তার পক্ষে লড়তে থাকবে। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, কোরআনে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সুরা আছে, যা তার আমলকারীকে জান্নাতে প্রবেশ করানো পর্যন্ত তার পক্ষে ওকালতি করেছে, তার পক্ষে লড়েছে। তা হলো, সুরা মুলক। (তাবারানি) সুতরাং যে ব্যক্তি এ সুরা তেলাওয়াত করবে এবং এর নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করবে, আশা করা যায় সে এর সুপারিশ লাভ করবে এবং জান্নাত লাভে ধন্য হবে।
কবরের আজাব থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনার সঙ্গে সঙ্গে একটি আমলও আমাদের কবরের আজব থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করবে। তা হলো, সুরা মুলকের আমল। এ সুরা তার আমলকারীর জন্য কবরের আজাবের সামনে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াবে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, সুরা মুলকের আমলকারী ব্যক্তিকে যখন কবরে রাখা হবে, আজাবের ফেরেশতারা তার পায়ের দিক থেকে আসবে। তখন পা বলবে, এদিক দিয়ে তোমরা তার পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না। কেননা সে নামাজে দাঁড়িয়ে সুরা মুলক তেলাওয়াত করত। এরপর বুক অথবা পেটের দিক থেকে এলে তা বলবে, এদিক থেকেও তোমরা তাকে কিছু করতে পারবে না। সে তো সুরা মুলক তেলাওয়াত করত (বুকের মধ্যে সুরা মুলক ধারণ করত)। মাথার দিক থেকে এলে বলবে, আমার দিক থেকেও তোমরা তার পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না। সে তো সুরা মুলক তেলাওয়াত করত (মাথার মধ্যে সুরা মুলক সংরক্ষণ করত)। (মুসতাদরাকে হাকিম)
ভয়েস/আআ